লংগদুতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

দেশের খবর পার্বত্য সংবাদ রাঙ্গামাটি

রাঙামাটিতে নারী ও শিশু ধর্ষণ মামলায় ৩২ বছর বয়সী রুবেল নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আসামাীকে দুই লাখ টাকার জরিমানাসহ অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। বুধবার রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ,ই,এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির লংগদু উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর পড়ুয়া ছাত্রীটি বগাচত্তর ইউনিয়নের পেটান্যামাছড়া এলাকায় তার মামার বাড়ীতে অবস্থান করে লেখাপড়া করতো। ২০১৬ সালের ২৭ আগষ্ট ধর্ষনের শিকার ছাত্রীটি তার খালার বাড়ী থেকে মামার বাড়ী যাওয়ার সময় খালুর সাথে বের হয়। মাইনী বাজারের জারুল বাগান মোটর সাইকেল ষ্ট্যান্ডে পৌছলে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রুবেল ছাত্রীটিকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে গাউছপুর মাষ্টার পাড়া পৌছে দেবে বলে ভাড়াবাবদ ৫০টাকাও নিয়ে নেয়। যাওয়ার পথে গাউছপুর ফরেষ্ট অফিসের কাছে আগর বাগান সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষন করে। পরে ছাত্রীটির রক্তক্ষরণ হলে এক পর্যায়ে মহাজন পাড়া এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষক রুবেল। ছাত্রীকে এলাকার লোকজন উদ্ধারের পর ধর্ষককে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৭ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ দাখিল করে। সর্বশেষ মামলাটি বুধবার রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ,ই,এম ইসমাইল হোসেনের আদালতে তোলা হয়। এতে অভিযোগ সন্দেহাতীভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক অভিযুক্ত মানিক বেপারী ছেলে রুবেলকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ৯(১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও দুই লক্ষ টাকার জরিমানা করেন। এতে অনাদায়ে আরো তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। এছাড়াও অভিযুক্ত রুবেলের মালিকানাধীন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পক্তির প্রস্তুত করে বিধিমোতাবেক ক্রোক ও নিলামের বিক্রয়ের অর্থ ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে ও ভিকটিমকে ক্ষতিপূরনের জন্য জেলা প্রশাসককে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবি মোঃ আবছার আলী এ মামলার উচ্চতর আদালতে আপীল করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবি ও ও বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করার সাহস পাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *